দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মিন্টু চৌধুরী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাছেন দিনরাত। উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে রয়েছে তার বিচরণ। এ অঞ্চলের মানুষদের খোজখবর নিতে তিনি রয়েছেন তৎপর। করোনাভাইরাস জনিত কারণে দক্ষিণ সুরমার মানুষজন রয়েছেন গৃহবন্ধি। মানুষজন বন্ধি থাকায় পাশে দাড়িয়েছেন ইউএনও মিন্টু চৌধুরী। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস জনিত সংকটের সময় উপজেলার অসহায়, দরিদ্র মানুষের কল্যাণে তিনি কাজ করে চলেছেন বিরামহীনভাবে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অসহায় মানুষদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী গত কয়েকদিন থেকে উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে বিতরণ করে আসছেন তিনি। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস প্রকোট আকার ধারণ করে দেশে। এসময় নির্বাহী অফিসার মিন্টু চৌধুরী সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে জনগণের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন কল্যাণমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরমধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সম্প্রতি প্রবাস থেকে আগতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে মোবাইল কোর্ট, সামাজিক দূরত্ব বজায় রক্ষায় সেনাবাহিনীকে সহায়তা প্রদান এবং দুস্ত মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা, তার এসকল জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। তার এমন কর্মতৎপরতা সত্যিই প্রশংসনীয়। তারই ধারাবাহিকতায় করোনাভাইরাস মুক্ত রাখতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় দক্ষিণ সুরমার ১০টি ইউনিয়নে হত-দরিদ্র লোকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন ইউএনও। গতকাল সোমবার ৩০ মার্চ সকাল থেকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু চৌধুরী মোগলাবাজার, দাউদপুর, লালাবাজার, জালালপুর ইউনিয়নে বাড়ী বাড়ী গিয়ে হত-দরিদ্র লোকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে জনপ্রতি ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ১ লিটার সোয়াবিন, ১ কেজি লবন, ১টি সাবান প্যাকেট করে লোকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন উপজেলা দূর্যোগ ও ত্রাণ অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুসিক, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ইমরান, কোষাধক্ষ্য আব্দুল খালিক, মোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম সাইস্তা, দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান এইচ.এম খলিল, লালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল।